হিন্দু শাস্ত্রে গোমাতা ও মানুষের সম্পর্ক।
হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত সপ্তমাতার (জন্মদাতা মা, আচার্যপত্নী,রাজপত্নী,দাইমা,ব্রাহ্মণপত্নী,পৃথিবী ও গোমাতা)মধ্যে গোমাতা অন্যতম। এছাড়া হিন্দু শাস্ত্রে মনুষ্য যোনির ঠিক নিচে গাই গরু যোনিকে রাখা হয়েছে। তাই বলা হয় গাই গরু র সাথে মানুষের আত্মার নিকট সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া বলা হয় মনুষ্য যোনিতে যাঁরা মায়ার বশীভূত হয়ে ছোট খাটো ভুল কাজ করেন তারা গাই গরু যোনিতে জন্ম নেন, এবং অনেকেই নিম্ন বর্গের পশু ,পাখি যোনি থেকে পুণ্যের ফলে মনুষ্য যোনিতে জন্ম নেওয়ার আগে গাই গরু যোনিতে জন্ম নেন। গো যোনি কে উত্তম যোনি বলা হয়।
এ ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে গোবিন্দ বলা হয় ,যার অর্থ -গো দের ইন্দ্র। ঐশ্বরিক গো-দেবী কামধেনু বা সুরভি / সুরভীকে গো-মাতা বা সকল গরুর মাতা হিসাবে বর্ণনা করা হয় । এনার আবাসস্থল হল গোলোক। ঈশ্বরের আদেশে ইনি ঋষির আশ্ৰমে,ও স্বর্গেও অবস্থান করেন। এনার মহান সন্তান সন্ততি হলেন নন্দিনী, ধেনু, হৰ্ষিকা ও সুভদ্ৰা।
![]() |
কামধেনু সুরভি |