ভগবান (ঈশ্বরঃ) - ঈশ্বর প্রাপ্তির লক্ষণ।

 ভগবান

যঃ স্বয়ংসম্পূর্ণঃ, স্বয়ংসিদ্ধঃ, স্থিতঃ স্বাতন্ত্র্যেণ,

স এব পরমাত্মা, পূর্ণব্রহ্ম, স ইতি কথ্যতে ভগবান্॥

💧

ঈশ্বরঃ তস্য চ কার্যम्।

ঈশ্বরস্য নাস্তি আদিঃ, ন চ তস্যাস্তি অন্তঃ।

অতঃ সঃ সদা অনাদিঃ, অতঃ সঃ সদা অনন্তঃ।

ঈশ্বরঃ ন করোতি জাদুং, ন চ অপ্রাকৃতিকং কর্ম।

সঃ সর্বভূতানাং নিয়ন্তা, তেনৈব করোতি কর্ম॥

💧

Shishurupena chanchalasvabhavena ramate 
Bhagavan jagatpati.Asmin rupe Bhagavan
Bhaktatmanah parichayam dadati.

ঈশ্বরপ্রাপ্তিঃ
ন পূজনৈঃ ন যজ্ঞৈশ্চ ন কর্মভির্ ন জ্ঞানতঃ ঈশ্বরপ্রাপ্তিঃ।
শুদ্ধয়া নিঃস্বার্থভক্ত্যৈব ভবত্যেব ভগবত্প্রাপ্তিঃ॥
💧

भगवत्प्राप्तेः सरलमार्गः
जीवः स्वभावतः प्रकृतेः नियमेन  स्नेहयति स्वसंततिं। 
यः जीवः सुतसंततिं ईश्वरांशत्वेन मन्यते च सेवते। 
स तत्र स्नेहं भगवद्भावेन वाहयन्, सहजमेव ईश्वरं प्राप्नोति।
एतत् कर्म केवलं षड्रिपून् निगृह्य एव सम्भवति॥


"Don’t Chase the God — He’ll Come to You"

Don’t run through forests, don’t climb the skies,
Don’t chase His form with weary eyes.

Just love Him true, in silent prayer,
And feel His presence in the air.
He seeks not gold, nor grand display,
But hearts that bloom in love each day.

In tears you shed, in songs you sing,
In every breath — He’s everything.
Don’t run after God, don’t roam the blue —
Just love Him deep… He’ll come to you.



ঈশ্বর প্রাপ্তির লক্ষণ।

ঈশ্বর প্রাপ্তির কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা বিভিন্ন ধর্ম ও আধ্যাত্মিক পথ অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। তবে এঁদের  মধ্যে  কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো—
ঈশ্বর প্রাপ্তি হলে :—

১.ভগবানের নাম নিতেই চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, কণ্ঠ ভারী হয়ে যায়, আর শরীর ভক্তির আনন্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে।

২.অহংকারের বিলোপ হবে। অখণ্ড শান্তি ও আনন্দ অনুভব করবেন।

৩.অপরিসীম প্রেম ও দয়া অনুভব হবে।

৪.মোহ-মায়া থেকে মুক্তি হবে।

৫.চেতনার উর্ধ্বগতি ও সমভাব হবে।
সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়, লাভ-ক্ষতি—সবকিছু সমানভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা জন্মাবে।

৬.আত্মজ্ঞান ও ঈশ্বরের সরাসরি অনুভূতি হবে।
ঈশ্বরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কেবল বিশ্বাসে নয়, বরং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ঈশ্বরকে অনুভব করেন।

মানসিক অনুভূতিকে   প্রায়শই স্বপ্নের মতো মনে করা হয়।


৭.কামনা-বাসনার বিলোপ হবে।
শরীর ও ইন্দ্রিয়সংক্রান্ত কামনা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে যায়, এবং ব্যক্তির চেতনা কেবল ঈশ্বরমুখী হয়ে ওঠে।

৮.অন্তরের মধ্যে এক দিব্য আলো অথবা জ্ঞান অথবা ঈশ্বরের উপস্থিতির অনুভূতি আসে। 

৯.নির্বিচার ভক্তি ও আত্মসমর্পণ: ভাব প্রবল হবে। এই ভাব এত প্রবল হবে যে তিনি আর পূজা, মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারবেন না, ঈশ্বর প্রেমের অশ্রু তাঁর চোখ দিয়ে বইতে থাকবে।

১০.তাঁর আত্মা নিজে নিজেই ঈশ্বরের নাম জপ করবে (অজপা জপ) এবং তিনি তাঁর চক্ষু দিয়ে ভগবানকে সাক্ষাৎ দেখবেন।
স্বপ্ন প্রায়শই মিথ্যা হয়, কেবল প্রমাণের
মাধ্যমেই তা সত্য হয়।


জীবের অন্তিম প্রার্থনা

আমার সাধ যে মিটিল, আশা যে পুরিল,
শেষে সকলই হারাইয়া গেল, নাথ।
জনমের শোধে ডাকি যে তোমারে,
কোলে তুলে নিতে তুমি এসো, নাথ।

এই দুঃখসাগরে কেউ ভাল বাসিতে জানে না,
এই দুঃখসাগরে কেউ ভাল তো বাসে না।
যেথা আছে শুধু ভালবাসাবাসি,
সেথায় যেতে চায় এ মন, নাথ।

বড় দাগা পেয়ে বাসনা ত্যাগেছি,
বড় জ্বালা সয়ে কামনা ভুলেছি।
অনেক কেঁদেছি—আর কাঁদিতে পারি না,
বুক ফেটে যায়, হে নাথ।

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

পূজা কত প্রকার ? পূজা কিভাবে করবেন ? পূজার দ্বারা কিভাবে ফল লাভ করবেন ?

বিপত্তারিণী পূজার নিয়ম - विपत्तारिणी की पूजा के नियम-How to perform Bipadtarini puja.