পোস্টগুলি

সংসার সাগর- Sea of Samsara.

ছবি
 যাঁরা এই সংসার সাগর, যোগ আদি দুস্কর সাধনার সাহায্যে উত্তীর্ণ হতে চান তাঁদের পক্ষে পরপারে পৌছানো অত্যন্ত কঠিন ,কারণ তাঁরা পারের কান্ডারি শ্রী হরির আশ্রয় নেন নি। শ্রী মদ ভাগবত মহাপুরান: চতুর্থ স্কন্দ ২২তম অধ্যায়ঃ নিত্যং পাঠ্যতে গীতা-ভাগবতম্। মুক্তিমোক্ষপ্রদাতে এতদ্ দ্বয়ম্॥ Embarking on the journey across the boundless sea of Samsara, the perpetual cycle of birth and death, poses a formidable challenge for those sincerely pursuing liberation through diverse practices such as yoga, sadhana, and other methods. The inherent difficulty lies in not seeking shelter in Shri Hari, the sole Navigator in the vast expanse of Samsara, as expounded in the Fourth Skanda, Chapter 22 of Srimad Bhagavat Mahapuran.

হিন্দু শাস্ত্রে গোমাতা ও মানুষের সম্পর্ক।

ছবি
 হিন্দু শাস্ত্রে বর্ণিত সপ্তমাতার (জন্মদাতা মা, আচার্যপত্নী,রাজপত্নী,দাইমা,ব্রাহ্মণপত্নী,পৃথিবী ও গোমাতা)মধ্যে গোমাতা অন্যতম। এছাড়া  হিন্দু শাস্ত্রে মনুষ্য যোনির ঠিক নিচে  গাই গরু যোনিকে রাখা হয়েছে। তাই বলা হয়  গাই গরু র সাথে মানুষের আত্মার নিকট সম্পর্ক আছে। এ ছাড়া বলা হয় মনুষ্য যোনিতে যাঁরা মায়ার বশীভূত হয়ে ছোট খাটো  ভুল কাজ করেন তারা গাই গরু যোনিতে জন্ম নেন, এবং অনেকেই নিম্ন বর্গের পশু ,পাখি যোনি থেকে পুণ্যের ফলে মনুষ্য যোনিতে জন্ম নেওয়ার আগে গাই গরু যোনিতে জন্ম নেন। গো যোনি কে উত্তম যোনি বলা হয়।  এ ছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণ কে গোবিন্দ বলা হয় ,যার অর্থ -গো দের ইন্দ্র। ঐশ্বরিক গো-দেবী কামধেনু  বা সুরভি / সুরভীকে গো-মাতা বা সকল গরুর মাতা হিসাবে বর্ণনা করা হয় । এনার আবাসস্থল হল গোলোক। ঈশ্বরের আদেশে ইনি ঋষির আশ্ৰমে,ও স্বর্গেও অবস্থান করেন। এনার মহান সন্তান সন্ততি হলেন  নন্দিনী, ধেনু, হৰ্ষিকা ও সুভদ্ৰা। কামধেনু  সুরভি 

ঈশ্বর প্রাপ্তির লক্ষণ।

ছবি
  Shishurupen Bhagavan remamano jagatpatih Aatmanah nijarupam sa prakashayati Bhaktaye ঈশ্বর প্রাপ্তির লক্ষণ। ঈশ্বর প্রাপ্তির কিছু সাধারণ লক্ষণ রয়েছে, যা বিভিন্ন ধর্ম ও আধ্যাত্মিক পথ অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। তবে এঁদের  মধ্যে  কিছু সাধারণ লক্ষণ নিচে দেওয়া হলো— ঈশ্বর প্রাপ্তি হলে :— ১. ভগবানের নাম নিতেই চোখ থেকে অশ্রু গড়িয়ে পড়ে, কণ্ঠ ভারী হয়ে যায়, আর শরীর ভক্তির আনন্দে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। ২.অহংকারের বিলোপ হবে। অখণ্ড শান্তি ও আনন্দ অনুভব করবেন। ৩.অপরিসীম প্রেম ও দয়া অনুভব হবে। ৪.মোহ-মায়া থেকে মুক্তি হবে। ৫.চেতনার উর্ধ্বগতি ও সমভাব হবে। সুখ-দুঃখ, জয়-পরাজয়, লাভ-ক্ষতি—সবকিছু সমানভাবে গ্রহণ করার ক্ষমতা জন্মাবে। ৬.আত্মজ্ঞান ও ঈশ্বরের সরাসরি অনুভূতি হবে। ঈশ্বরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কেবল বিশ্বাসে নয়, বরং প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় ঈশ্বরকে অনুভব করেন। ৭.কামনা-বাসনার বিলোপ হবে। শরীর ও ইন্দ্রিয়সংক্রান্ত কামনা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে যায়, এবং ব্যক্তির চেতনা কেবল ঈশ্বরমুখী হয়ে ওঠে। ৮.অন্তরের মধ্যে এক দিব্য আলো অথবা জ্ঞান অথবা ঈশ্বরের উপস্থিতির অনুভূতি আসে।  ৯.নির্বিচার ভক্তি ও আত্মসমর্পণ: ভাব প্রবল হব...

সনাতন (হিন্দু )ধর্মের চারটি স্তম্ভ সত্য ,দয়া ,তপ ও শৌচ।

ছবি
সনাতন (হিন্দু )ধর্মের চারটি স্তম্ভ   সত্য ,দয়া ,তপ  ও শৌচ। সনাতন (হিন্দু )ধর্মের চারটি স্তম্ভ ,নন্দীর চারটি পা  সত্য ,দয়া ,তপ  ও শৌচ উপর দাঁড়িয়ে আছে।

পূজা কত প্রকার ? পূজা কিভাবে করবেন ? পূজার দ্বারা কিভাবে ফল লাভ করবেন ?

ছবি
পূজার সংজ্ঞা: ভগবানের গুণাবলি প্রকাশক এবং গুণারোপিত ভগবৎ সত্তার পরিচায়ক দেবগণের প্রীতির জন্য সঠিক সেবা, গুণকীর্তন, প্রার্থনা, প্রণাম ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার আনুষ্ঠানিকতাকে পূজা বলা হয়। এক কথায়, সেবক ও ইশ্বরের ঐক্য সম্পর্কই পূজা। পূজার মূল উপাদান হলো ভক্তি। ভক্তি ছাড়া পূজা নিস্ফল হয়। পূজা দুটি অঙ্গ বা ভাগে বিভক্ত—বাহ্য পূজা ও আভ্যন্তর পূজা। বাহ্য পূজা: বাহ্য পূজা দুই প্রকার—বৈদিক পূজা ও তান্ত্রিক পূজা। বৈদিক পূজা: বেদের নির্দেশ অনুযায়ী যে পূজা সম্পন্ন হয়, তাকে বৈদিক পূজা বলা হয়। তান্ত্রিক পূজা: তন্ত্রের নিয়ম অনুসারে যে পূজা করা হয়, তাকে তান্ত্রিক পূজা বলা হয়। আভ্যন্তর পূজা: মনের গভীর ভক্তি দ্বারা যে পূজা সম্পন্ন হয়, সেটি আভ্যন্তর পূজা। পূজার প্রকারভেদ: পূজা সাধারণত দুই প্রকার—মূর্তি পূজা ও মানস পূজা। মূর্তি পূজা: ভগবানের মূর্তি বা প্রতিকৃতি সামনে রেখে যে পূজা করা হয়, সেটি মূর্তি পূজা। প্রাচীন ঋষি-মুনিরা মানুষের চঞ্চল মনকে একাগ্র ও ভগবানের প্রতি আসক্ত করতে মূর্তি পূজার প্রচলন করেছিলেন। মানস পূজা: ধ্যানে বা মনে ভগবানের যে পূজা করা হয়, সেটি মানস পূজা। কর্মফল বা উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে পূজা: উদ্দে...

মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।

ছবি
  পড়ুন >>মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।   পড়ুন >>মা কালী এবং তাঁর বিভিন্ন রূপের বর্ণনা ও তাঁর ধ্যানমন্ত্র।

ভগবান শিব -শিবের বিভিন্ন রূপ ও বৈশিষ্ট্য,-শিবরাত্রি এবং মহাশিবরাত্রি।

ছবি
  শিব: ধ্বংস ও মঙ্গলের দেবতা শিব শব্দের আক্ষরিক অর্থ “শুভ” বা “মঙ্গল”। তিনি হিন্দু ত্রিমূর্তির অন্যতম দেবতা ও ধ্বংসের প্রতীক। শিবের বিভিন্ন নামের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মহেশ্বর, শঙ্কর, ভোলানাথ, নীলকণ্ঠ, রুদ্র এবং মহাদেব। শিবের বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে তৃতীয় নয়ন, গলায় বাসুকী নাগ, জটার উপর থেকে প্রবাহিত গঙ্গা, তাঁর অস্ত্র ত্রিশূল এবং বাদ্যযন্ত্র ডমরু। শিবের মন্ত্র হলো: ওঁ নমঃ শিবায়। শিবের বিভিন্ন রূপ ও বৈশিষ্ট্য ১. অর্ধচন্দ্র ও তৃতীয় নয়ন: শিবের মস্তকে একটি অর্ধচন্দ্র বিরাজমান, যা তাঁকে "চন্দ্রশেখর" নামে অভিহিত করে। তাঁর কপালে তৃতীয় নয়নের উপস্থিতির কারণে তিনি "ত্রিলোচন" নামে পরিচিত। ২. জটাজুট ও নীলকণ্ঠ: শিবের চুল জটাবদ্ধ, তাই তাঁকে "জটাধারী" বলা হয়। সমুদ্র মন্থনের সময় হলাহল বিষ পান করার পর তাঁর কণ্ঠ নীল হয়ে যায়, যার ফলে তিনি "নীলকণ্ঠ" নামে খ্যাত হন। ৩. গঙ্গাধর ও কৃত্তিবাস: শিব জটায় গঙ্গাকে ধারণ করেন, তাই তাঁর আরেক নাম "গঙ্গাধর"। শিবের পোশাক ব্যাঘ্রচর্ম হওয়ায় তিনি "কৃত্তিবাস" নামে পরিচিত। ৪. সর্প ও অস্ত্র: শিবের গল...